তিন সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও বড় ভাই, ছোট ভাইয়ের ঘর ভাঙলো বিশ্বাসঘাতকতায়—বরিশালে তোলপাড়
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ও পারিবারিক মূল্যবোধ ভেঙে পড়ার ঘটনা। বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুরো এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিবপুর গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন স্থানীয় বাসিন্দা অসিম মিস্ত্রী (৫৮), যিনি অতুল মিস্ত্রীর ছেলে। তিনি একই এলাকার কাঠমিস্ত্রি উত্তম মিস্ত্রীর চাচাতো ভাই। পালিয়ে যাওয়া নারী বিথীকা রানী (৩৮) হলেন উত্তমের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
নিখোঁজের পর বেরিয়ে আসে সম্পর্কের সত্যতা
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ জুন বিথীকা রানী ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি ভাসুর অসিম মিস্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় উত্তম মিস্ত্রী বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ
উত্তম মিস্ত্রী জানান, “সেদিন বাজার থেকে ফিরে এসে দেখি ঘরে তালা লাগানো, চাবি নিচে পড়ে আছে। ছেলেমেয়েরা জানায়, মা নেই। পরে শুনি, আমার স্ত্রী আমার বড় ভাই অসিমের সঙ্গে পালিয়েছে। আমি ভাবতেই পারিনি, যিনি ভাইয়ের মতো ছিলেন, তিনিই আমার ঘর ভাঙবেন।”
তিনি আরও বলেন, “ঘরের সব কিছু নিয়ে গেছে—টাকা, গহনা, আর আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ। আমি এখন অসহায়।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকাই হতবাক। স্থানীয়দের অনেকে বলেন, এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক মূল্যবোধেরও চরম অবক্ষয়। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, বিথীকা রানী প্রায়ই দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলতেন, বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছিল।
একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “এই ঘটনার পর থেকে সবাই আতঙ্কে আছে। এমন সম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠল—তা ভাবতেই ভয় লাগে।”
আইনি পদক্ষেপ
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত অসিম মিস্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাকে পাওয়া যায়নি।
0 Comments